বর্ষা শেষ এসেছে শরত। ভাদ্রের শুরুতেই অসহনীয় গরম সর্বত্র। ভ্যাঁপসা গরমে অস্থির জনজীবন। দুপুরে কড়া রোদ বেশ বিপাকে ফেলেছে বিয়ানীবাজারবাসীকে। মনে করিয়ে দিচ্ছে তালপাঁকা গরমের কথা। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। এ গরমে বেশি ভুগছেন বৃদ্ধ আর শিশুরা। জ্বর ডায়েরিয়া নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের মৌসুমী রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে রাস্তাধারের ভ্রাম্যমান শরবতের দোকানগুলোতে ভীড় করতে দেখা যায় পথচারী ও শ্রমজীবি মানুষদের। এসব শরবতের মান নিয়ে রয়েছে সংশয়। এদিকে তাপামাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।

বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন দাবদাহ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাদ্র মাসের এসময়টাতে এমনিতেই গরম থাকে। কিন্তু এবছর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমাদের এ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়েছে। মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত না হওয়ায় তাপামাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ মাস পুরোটাই গরম থাকবে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ ।

এদিকে দুপুরের প্রচন্ড গরমে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। পৌরশহরের প্রধান সড়ক ও কলেজ রোড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর না গড়াতেই ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেক রিকশা ও ভ্যানগাড়ি চালক এবং ভ্রাম্যমান ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা । কেউবা হাত পাখা দিয়ে আবার কেউ খালি গায়ে গামছা দিয়ে বাতাস করছেন তারা। একজন রিকশাচালক জানান, গরমে শরীর দিয়া যেন আগুন বার হইতাছে। একটু সময় গাড়ি টানার পরে আর পারি না। মাথাডায় চক্কর দিয়া উঠে। খালি পানির তেষ্টা পায়।

গরমে শরবতের ব্যবসা জমজমাট। পিপাসা ও শরীরের পানির চাহিদা মেটাতে অনেকেই পান করছেন রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ দোকানের শরবত। এসব শরবত স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেটা নিয়েও যেন ভাবনা নেই কর্মজীবী ও খেটেখাওয়া এসব মানুষের।

তবে চিকিৎসকরা জানালেন, রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের শরবত নিরাপদ নয়। তাদের শরবতের পানি, বরফ কোথা থেকে আসে ঠিক নেই। এ শরবত পান করে পেটের অসুখ, হেপাটাইটিস এ বা বিসহ নানান ধরনের রোগ হতে পারে। তাদের মতে, তীব্র গরমে প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সে পানি হতে পারে লেবু শবরত। কিংবা উচ্চরক্তচাপ না থাকলে খাবার স্যালাইনও পান করা যেতে পারে।